
স্ট্রবেরি Fragaria ananasa) Rosaceae পরিবারভুক্ত একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। আকর্ষণীয় বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি অত্যন্ত সমাদৃত। স্ট্রবেরি একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হলেও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বৃদ্ধিতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। স্ট্রবেরি মৃদ শীতপ্রধান দেশের ফল হলেও উষ্ণম-লীয় অঞ্চলে চাষোপযোগী স্ট্রবেরির জাত উদ্ভাবন করায় দক্ষিণ, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। শীত মৌসুমে আমাদের দেশে তেমন কোনো ফল উৎপন্ন না হলেও সাফল্যজনকভাবে স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্ভব অপরদিকে বাজারে এটি বেশ উচ্চমূল্যে বিক্রয় হয় বিধায় এর চাষ খুবই লাভজনক। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ২৫টি জেলায় সাফল্যের সাথে স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে। বিএআরআই দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রবেরি চাষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে আসছে এবং অদ্যাবধি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বত্র চাষ উপযোগী স্ট্রবেরির তিনটি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে।
মাটি ও আবহাওয়া :
স্ট্রবেরি মূলত মৃদু শীত প্রধান অঞ্চলের ফসল। কিন্তু কিছু কিছু জাত তুলনামূলক তাপ সহিষ্ণু এদের গ্রীষ্মায়িত জাত বলা যায়। এসব জাতের জন্য দিন ও রাতে যথাক্রমে ২০-২৬ ডিগ্রি ও ১২-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। ফুল ও ফল আসার সময় শুষ্ক আবহাওয়া আবশ্যক। স্ট্রবেরির জাতগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়ায় স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি রবি মৌসুম চাষের উপযোগী। বৃষ্টির পানি জমে না এ ধরনের উর্বর দো-আঁশ থেকে বেলে-দোআঁশ মাটি স্ট্রবেরি চাষের জন্য উত্তম।
জাত:
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট স্ট্রবেরির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা বিবেচনায় বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারি স্ট্রবেরি-১, বারি স্ট্রবেরি-২ ও বারি স্ট্রবেরি-৩ নামে ৩টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। ‘বারি স্ট্রবেরি-১’ নামে স্ট্রবেরি জাতটি বাংলাদেশের সবখানেই চাষ করা যায়। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রতি গাছে গড়ে ৩২টি ফল ধরে যার গড় ওজন ৪৫০ গ্রাম। হেক্টর প্রতি ফলন ১০-১২ টন। এই জাতের পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। জাতটি যথেষ্ঠ পরিমানে সরু লতা ও চারা উৎপাদন করে বলে এর বংশ বিস্তার সহজ।এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত রাবি-১, রাবি-২, রাবি-৩ এবং মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টার, নাটোর থেকে প্রচলিত জাত মডার্ন স্ট্রবেরি-১, মডার্ন স্ট্রবেরি-২, মডার্ন স্ট্রবেরি-৩, মডার্ন স্ট্রবেরি-৪, মডার্ন স্ট্রবেরি-৫; আমাদের দেশে চাষযোগ্য জাত।। নিম্নে বারি উদ্ভাবিত স্ট্রবেরির জাতগুলোর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো।
বারি স্ট্রবেরি-১
বাংলাদেশে সর্বত্র চাষোপযোগী একটি উচ্চফলনশীল জাত। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়। গাছপ্রতি গড়ে ৩২টি ফল ধরে যার মোট গড় ওজন ৪৫০ গ্রাম। হেক্টরপ্রতি ফলন ১০-১২ টন। হৃৎপিণ্ডাকৃতির ফল ক্ষুদ্র থেকে মধ্যম আকারের যার গড় ওজন ১৪ গ্রাম। পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। ফলের ত্বক নরম ও ঈষৎ খসখসে। ফলের শতভাগ ভক্ষণযোগ্য। স্ট্রবেরির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সুগন্ধযুক্ত ফলের স্বাদ টক-মিষ্টি। জাতটি পর্যাপ্ত সরু লতা (runner) ও চারা উৎপাদন করে বিধায় এর বংশবিস্তার সহজ।স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি
বারি স্ট্রবেরি-২
বাংলাদেশে সর্বত্র চাষোপযোগী একটি উচ্চফলনশীল জাত। জাতটি আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে সংগ্রহপূর্বক বাংলাদেশের আবহাওয়া অভিযোজন পরীক্ষাপূর্বক বাছাই পদ্ধতিতে মুক্তায়ন করা হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথমে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়। গাছপ্রতি গড়ে ৩৭টি ফল ধরে। গাছপ্রতি গড় ফলন ৭৪০ গ্রাম। হেক্টরপ্রতি ফলন ১৪-১৮ টন। হৃৎপিণ্ডাকৃতির ফল বেশ বড় আকারের, প্রান্ত ভাগ চ্যাপ্টা। পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। ফলের ত্বক মধ্যম নরম ও ঈষৎ খসখসে। ফলের শতভাগ ভক্ষণযোগ্য। স্ট্রবেরির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সুগন্ধযুক্ত ফলের স্বাদ টক-মিষ্টি । জাতটি ফল প্রদান মৌসুমে সিমিত সংখ্যক runner উৎপাদন করে বিধায় runner অপসারণজনিত শ্রমিক কম লাগে।স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি
বারি স্ট্রবেরি-৩
বাংলাদেশে সর্বত্র চাষোপযোগী একটি উচ্চফলনশীল জাত। জাতটি আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে সংগ্রহপূর্বক বাংলাদেশের আবহাওয়া অভিযোজন পরীক্ষাপূর্বক বাছাই পদ্ধতিতে মুক্তায়ন করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর শেষ ভাগ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়। গাছপ্রতি গড়ে ৩৯টি ফল ধরে। গাছপ্রতি গড় ফলন ৭৭০ গ্রাম। হেক্টরপ্রতি ফলন ১৫-২০ টন। হৃৎপিণ্ডাকৃতির ফল বেশ বড় আকারের লম্বাটে, প্রান্ত ভাগ চোখা। পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। ফলের ত্বক তুলনামূলক শক্ত ও ঈষৎ খসখসে। ফলের শতভাগ ভক্ষণযোগ্য। স্ট্রবেরির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সুগন্ধযুক্ত ফলের স¦াদ টকমিষ্টি। জাতটি ফল প্রদান মৌসুমে সীমিত সংখ্যক runner উৎপাদন করে বলে runner অপসারণজনিত শ্রমিক কম লাগে।স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি
চারা উৎপাদন :
স্ট্রবেরির ভূসংলগ্ন সংকুচিত পর্ব সন্ধি হতে সরু লতার মতো অবস্থানিক কাণ্ড বের হয় যা মাটির ওপর দিয়ে ভূমির সমান্তরালে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং কিছু দূর সম্প্রসারিত হয়ে পর্ব সন্ধিতে নিচের দিকে শিকড় ও ওপরের দিকে বিটপ উৎপন্ন করে। একে রানার বলে। স্ট্রবেরি রানারের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে। তাই পূর্ববর্তী বছরের গাছ নষ্ট না করে জমি থেকে তুলে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রোপণ করতে হবে। ওই গাছ থেকে উৎপন্ন রানারে যখন শিকড় বের হবে তখন তা কেটে ৫০ ভাগ জৈব সার ও ৫০ ভাগ পলিমাটি যুক্ত সিড বেড বা পলিথিন ব্যাগে লাগাতে হবে এবং হালকা ছায়াযুক্ত নার্সারিতে সংরক্ষণ করতে হবে। রানার রোপণের পূর্বে সিড বেড বা পলি ব্যাগের মাটি শোধন করে নিতে হবে। সিড বেডের ওপরে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু ধানের তুষ বা স-ডাস্ট (করাত কলের গুঁড়া) বিছিয়ে তাতে আগুন দিয়ে পুড়ালে সিড বেডর মাটিতে থাকা জীবাণু ধ্বংস হয়। পলি ব্যাগে ব্যবহারের পূর্বে মাটি ও জৈব সারের মিশ্রণ ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে বিছিয়ে তার ওপরে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু ধানের তুষ বা স-ডাস্ট (করাত কলের গুঁড়া) বিছিয়ে তাতে আগুন দিয়ে শোধন করা সম্ভব। অতিরিক্ত বৃষ্টির হাত থেকে চারাকে রক্ষার জন্য বৃষ্টির মৌসুমে চারার উপর পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। রানারের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হলে স্ট্রবেরির ফলন ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। তাই জাতের ফলন ক্ষমতা অক্ষুণœ রাখার জন্য প্রতি বছর পরপর টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করা উত্তম।
জমি তৈরি ও চারা রোপণ :
স্ট্রবেরি উৎপাদনের জন্য উত্তমরূপে কয়েকবার চাষ ও মই দিয়ে এবং বিশেষ করে বহুবর্ষজীবী আগাছাসহ অন্যান্য আগাছা অপসারণ করে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে ৩০ গ্রাম-শতাংশ হারে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিলে মাটিবাহিত রোগ জীবাণু নষ্ট হয়। স্ট্রবেরি বেডে অথমা সমতল পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। তবে ফাটিগেশন পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য বেড পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এজন্য ১ মিটার প্রশস্ত এবং ১০-১৫ সেন্টিমিটার উঁচু বেড তৈরি করতে হবে। দুটি বেডের মাঝে ৩০-৫০ সেন্টিমিটার নালা রাখতে হবে। প্রতি বেডে ৩০-৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে দুই সারিতে ২০-৪০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হবে। আগাম রোপণের জন্য পাতলা এবং নাবি রোপণের জন্য ঘন করে চারা লাগাতে হবে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আশ্বিন মাস (মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর) স্ট্রবেরির চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা চলে।
সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি :
স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি গুণগত মানসম্পন্ন উচ্চফলন পেতে হলে স্ট্রবেরির জমিতে নিয়মিত পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। মাঝারি উর্বরতার জমির জন্য হেক্টরপ্রতি ৩০ টন পচা গোবর, ২৫০ কেজি ইউরিয়া, ১৭৫ কেজি টিএসপি, ২০০ কেজি এমওপি, ১১৫ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি বরিক এসিড ও ৮ কেজি জিংক সালফেট সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম, বরিক এসিড ও জিংক সালফেট সার জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ফার্টিগেশন পদ্ধতির জন্য ২০০ কেজি ইউরিয়া ও ১৫০ কেজি এমওপি সার চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ১৫-২০ দিন পরপর ৫-৮ কিস্তিতে সেচের পানির সাথে মিশিয়ে ড্রিপ সেচের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
সার | হেক্টরপ্রতি | শতক প্রতি |
পচা গোবর | ৩০ টন | ১০০-১২০ কেজি |
ইউরিয়া | ২৫০ কেজি | ১ কেজি |
টিএসপি | ১৭৫ কেজি | ৮০০ গ্রাম |
এমওপি | ২০০ কেজি | ৯০০ গ্রাম |
জিপসাম | ১১৫ কেজি | ৬০০ গ্রাম |
বরিক এসিড | ১২ কেজি | |
জিংক সালফেট | ৮ কেজি |
স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি তে পানি সেচ ও নিকাশ:
স্ট্রবেরি আধুনিক চাষ পদ্ধতি ,জমিতে রসের অভাব দেখা দিলে প্রয়োজনমতো পানি সেচ দিতে হবে। স্ট্রবেরি জলাবদ্ধতা মোটেই সহ্য করতে পারে না। তাই বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফার্টিগেশন পদ্ধতিতে সেচের পানি নলের মাধ্যমে ফোঁটায় ফোঁটায় সরাসরি গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা হয়। ফলে পানির পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং সেচজনিত জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা থাকে না।
মাল্চ প্রয়োগ ও পরিচর্যা
স্ট্রবেরি উৎপাদনে মাল্চ অপরিহার্য কারণ সরাসরি মাটির সংস্পর্শে এলে স্ট্রবেরির ফল পচে নষ্ট হয়ে যায়। স্ট্রবেরি চাষের সূচনালগ্নে এতে মাল্চ হিসেবে খর ব্যবহার করা হতো বিধায় এর নাম হয়েছে স্ট্রবেরি। চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর স্ট্রবেরির বেড খড় বা কাল পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। খড়ে যাতে উঁইপোকার আক্রমণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতি লিটার পানির সাথে ৩ মিলিলিটার ডার্সবান ২০ ইসি ও ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন ডিএফ মিশিয়ে ওই দ্রবণে খড় সুধন করে নিলে তাতে উঁইপোকার আক্রমণ হয় না এবং দীর্ঘদিন তা অবিকৃত থাকে। স্ট্রবেরিরর জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। গাছের গোড়া থেকে নিয়মিতভাবে রানার বের হয়। ওই রানারগুলো ১০-১৫ দিন পর পর কেটে ফেলতে হবে। রানার কেটে না ফেললে গাছের ফুল ও ফল উৎপাদন হ্রাস পায়।
মালচিং পেপার এ স্ট্রবেরি চাষঃ
মালচিং পেপার কৃষিতে এক আধুনিক আবিষ্কার । মালচিং পেপার স্ট্রবেরি চাষে একটি যুগান্তকারী সংযোজন। স্ট্রবেরি তে প্রচুর পরিমান মালচিং এর দরকার হয় কারন এটি রসালো ফল হওয়ায় মাটির সংস্পর্শে এসে পচে যায় এবং আগাছাও অনেক সমস্যা করে থাকে তাই মালচিং পেপার দিয়ে চাষ করলে ফল পচে যায় না। আগাছা হয় না এবাল মাটিতে দীর্ঘদিন রস ধরে রাখে। স্ট্রবেরি তে পর্চুর রানার হয় যা অপসারণ করতে অনেক লেবার খরচ হয় মালচিং পেপার দিয়ে চাষ করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মালচিং পেপার সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন:
https://krishimela.com.bd/shop/mulch-film-silver-black-irish-polymer-1-roll-400-meters/
ফার্টিগেশন সিস্টেমে স্ট্রবেরি উৎপাদন সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন: