This site is test for largest Agricultural Open Marketplace in Bangladesh. Connect Vendor and customer directly. Its full free now!

শসার রোগ

Added to wishlistRemoved from wishlist 4
Micro Drip tube ড্রিপ টিউব (ft) 4/7 mm
Added to wishlistRemoved from wishlist 4
6.00৳ 
Added to wishlistRemoved from wishlist 7
DIBL
  Drip Tube PE 16mm rft
Added to wishlistRemoved from wishlist 7
12.00৳ 
Added to wishlistRemoved from wishlist 5
Mist irrigation with Anti Drainage Valve(Black+Black)
Added to wishlistRemoved from wishlist 5
55.00৳ 
Added to wishlistRemoved from wishlist 7
Adjustable Dripper
Added to wishlistRemoved from wishlist 7
10.00৳ 

Added to wishlistRemoved from wishlist 0
5 way Star Fogger with 1/2″ Thread Adapter Male
Added to wishlistRemoved from wishlist 0
Original price was: 180.00৳ .Current price is: 169.00৳ .
6%
Added to wishlistRemoved from wishlist 0
5 way Star Fogger Set Orange
Added to wishlistRemoved from wishlist 0
220.00৳ 
Added to wishlistRemoved from wishlist 0
5 way Star Fogger Orange
Added to wishlistRemoved from wishlist 0
150.00৳ 
Added to wishlistRemoved from wishlist 0
DIBL 16 mm to 4 mm Drip Tube Reducer
Added to wishlistRemoved from wishlist 0
20.00৳ 

*1*রোগের নামঃ শসার পাতার টার্গেট স্পট রোগ

লক্ষণঃ এ রোগ হলে পুরাতন পাতায় বাদামি দাগ দেখা যায়।দাগের কেন্দ্র হালকা বাদামি কিন্তু বাইরের দিক গাঢ় বাদামি। ব্যাপক আক্রমনে পাতা মরে যায়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • ক্ষেত থেকে আক্রান্ত পাতা তুলে ফেলা।
  • রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা।
  • ম্যানকোজেব অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল যেমন: রিদোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করা।
  • আগাম বীজ বপন করা।
  • সুষম সার ব্যবহার করা।
  • গাছের পরিত্যাক্ত অংশ ধ্বংস করা।

*2*রোগের নামঃ শসার গামি স্টেম ব্লাইট রোগ

লক্ষণঃ এ রোগ হলে পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা যায়। ব্যাপক আক্রমনে পাতা পচে যায়। কান্ড ফেটে লালচে আঠা বের হয়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা।
  • রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা।
  • ম্যানকোজেব অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল যেমন: রিদোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করা।
  • আগাম বীজ বপন করা।
  • সুষম সার ব্যবহার করা।
  • সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা।

*3*রোগের নামঃ শসার ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ

লক্ষণঃ এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা।
  • জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
  • আগাম বীজ বপন করা।
  • সুষম সার ব্যবহার করা।

*4*রোগের নামঃ শসার পাতা কোকড়ানো রোগ

লক্ষণঃ এ রোগ হলে পাতা কুঁকড়ে যায় এবং পাতা আকারে ছোট হয়ে যায়।পাতা হলদেটে দেখা যায়। বয়স্ক পাতা শক্ত ও মচমচে হয় এবং গাছ খাটো হয়ে যায় ।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা।
  • বাহক পোকা যেমন: সাদা মাছি, লিফ হোফার দমনের জন্য এসিফেট ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
  • স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
  • একই জমিতে বার বার শসা চাষ করবেন না।
  • আধুনিক জাতের শসা চাষ করুন ।
  • শস্য পর্যায় অনুসরণ করুন।

*5*রোগের নামঃ শসার শিকড়ের গিঁট রোগ – Root Knot Disease of Cucumber

রোগের কারণঃ Meloidogyne incognita নামক কৃমি দ্বারা এই রোগ হয়।

লক্ষণঃ

  • আক্রান্ত গাছের শিকড়ে গিঁট সৃষ্টি এই রোগের প্রধান লক্ষণ। কৃমি রস শোষণ করে জীবন ধারণ করে। এর ফলে কৃমি দ্বারা আক্রান্ত গাছকে রুগ্ন ও দুর্বল মনে হয়।
  • প্রথমে ছোট গিঁট তৈরি করে পরে আস্তে আস্তে তা বেশ বড় হয় এবং শেষ পর্যন্ত গাছের সম্পূর্ণ শিকড়ই গিঁটে পরিণত হতে পারে।
  • পাতা হালকা সবুজ হয়ে গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ধরা কমে যায়।
  • রৌদ্রের সময় গাছে পানির অভাব দেখা যায়। গিঁটে অনেক স্ত্রী কৃমি থাকে।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ জমিতে শসা লাগানোর ২০ দিন পূর্বে মুরগির বিষ্ঠা ১০ টন/হেক্টর এবং ফুরাডান ৪৫ কেজি/হেক্টর অথবা সরিষার খৈল ৮০০ কেজি/হেক্টর হারে প্রয়োগ করা।

*6*রোগের নামঃ শসার এ্যানথ্রোকনোজ রোগ – Anthracnose of Cucumber (Colletotrichum sp.) ছত্রাক রোগ।

লক্ষণঃ গাছের পাতা ও ফলে কালো কালো পচা দাগ দেখা যায়।এ দাগগুলো ক্রমশঃ বড় হয়ে আক্রান্ত অংশটি পচিয়ে ফসলের ক্ষতি করে।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • আক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলা।
  • রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা।
  • সুষম সার ব্যবহার করা।
  • বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করা। (বিটাভেক্স ২০০বি- ২.৫ গ্রাম বা ব্যাভিষ্টিন ২ গ্রাম/ প্রতি কেজি বীব)
  • এ রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিেত টপসিন এম ২.৫ গ্রাম বা নোইন ১ গ্রাম বা একোনাজল বা টিল্ট- ০.৫ মিলি বা চ্যাম্পিয়ন- ২ গ্রাম ইত্যাদি দ্বারা স্প্রে করা।

*7*রোগের নামঃ শসার ডাউনি মিলডিউ রোগ – Downey Mildew of Cucumber (Pseudoperonospora sp.) ছত্রাক রোগ।

লক্ষণঃ

  • এ রোগ পাতায় হয়। পাতার উপরে ছোট ছোট হলুদ কোণাকৃতি দাগ দেখা যায়।
  • পাতার নিচে গোলাপী ছত্রাক দেখা যায়।
  • বয়স্ক পাতা মারা যায়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • আক্রান্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ না করা।
  • গাছের পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট বা পুড়ে ফেলা।
  • ডাইথেন-এম ৪৫ ২.৫ গ্রাম এবং ম্যানকোজেব + মেটালেক্সিল- ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। সিকিউর ১-১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

*8*রোগের নামঃ শসার পাউডারী মিলডিউ রোগ – Powdery Mildew of Cucumber (Oidium sp.) ছত্রাক রোগ।

লক্ষণঃ পাতার উপরিভাগ সাদা পাউডার দিয়ে ভরে যায় এবং ফসল নষ্ট হয়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা।
  • পরিত্যক্ত পাতা সংগ্রহ করে নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলা।
  • থিয়োভিট বা রনোভিট বা ম্যাকসালফার- ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন: গোল্ডাজিম ৫ মিলিটার বা এমকোজিম বা কিউবি বা কমপ্যানিয়ন ২০ গ্রাম) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর আক্রমণের শুরু থেকে মোট ২-৩ বার প্রয়োগ করুন।

*9*রোগের নামঃ শসার ফলের মাছি পোকা

লক্ষণঃ

১। স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ২। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী রং ধারন করে । ৩। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায় এবং হলুদ হয়ে পঁচে ঝড়ে যায়।

ব্যবস্থাপনাঃ

১। আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংস করা বা পুড়ে ফেলা। ২। কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া । ৩। প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে । ৪। আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা। ৫। পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ ( যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম ) মিশিয়ে তা দিয়ে বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা। ৬। সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

সাবধানতাঃ স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।

করনীয়ঃ উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।

*10*রোগের নামঃশসার ফলছিদ্রকারি পোকা

লক্ষণঃ পোকার কীড়া কচি ফল ও ডগা ছিদ্র করে ও ভিতরে কুরে কুরে খায় । ২। এরা ফলের কুঁড়িও খায়।

ব্যবস্থাপনাঃ

১। ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা । ২। আক্রান্ত ডগা ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করা ৩। চারা রোপনের ১৫ দিন পর থেকে ক্ষেত ঘন ঘন পর্যাবেক্ষন করা । ৪। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার যেমন নিমবিসিডিন ৩ মিঃলিঃ / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা । ৫। শতকরা ১০ ভাগের বেশি ক্ষতি হলে যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা । যেমন রিপকর্ড ১ মিঃলিঃ বা ডেসিস ০.৫মিলি বা ফাসটেক ০.৫ মিঃলিঃ বা সাবক্রণ -২ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা ডায়াজিনন ২ মিঃলিঃ /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।

সাবধানতাঃ স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।

করনীয়ঃ আগাম বীজ বপন করা। সুষম সার ব্যবহার করা।

*11*রোগের নাম: শসার রেড পামকিন বিটল

লক্ষণঃ পামকিন বিটলের পূর্ণবয়স্কপোকা চারা গাছের পাতায় ফুটো করে এবং পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলে।এ পোকা ফুল ও কচি ফলেও আক্রমণ করে।

ব্যবস্থাপনাঃ ১। চারা আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক পোকা ধরে মেরে হাত দিয়ে মেরে ফেলা। ২। ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার রাখা। ৩। কেরোসিন মিশ্রিত ছাই গাছে ছিটানো। ৪। ক্ষেতের আশপাশের বিকল্প পোষক অর্থাৎ কুমড়াজাতীয় সবজি নষ্ট করা। ৫। গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে কিড়া উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং ডাল পুঁতে পাখি বসার জায়গা করে দেওয়া। ৬। চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বেঁচে যায়। ৭। এক কেজি মেহগনি বীজ কুচি করে কেটে ৫ লিটার পানিতে ৪-৫ দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ছেঁকে ২০ গ্রাম সাবান গুঁড়া এবং ৫ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে ২০ মিনিটে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা হলে ৫ গুণ পানি স্প্রে করুন।

*12*রোগের নামঃ শসার জাব পোকা

লক্ষণঃ পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।

ব্যবস্থাপনা: ১। গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা। ২। প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা। ৩। পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা। ৪। ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা । ৫। হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা । ৬। তামাকের গুড়া (১০ গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫ গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা । ৭। প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি/লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

*13*রোগের নামঃ শসার ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ

লক্ষণঃ এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়।

ব্যবস্থাপনাঃ ১। ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা। ২। জাপ পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

*14*রোগের নামঃ শসার সাদা মাছি পোকা

লক্ষণঃ এরা পাতার রস চুষে খায় ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। পাতায় অসংখ্য সাদা সাদা পাখাযুক্ত মাছি দেখা যায় ।ঝাকি দিলে পোকা উড়ে যায় । এরা ভাইরাস জনিত রোগ ছড়ায়।

ব্যবস্থাপনাঃ ১। সাদা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন বা আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা। ২। নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা। ৩। ৫০ গ্রাম সাবানের গুড়া ১০ লিটার পানিতে গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে ২/৩ বার ভাল করে স্প্রে করা। সাথে ৫ কৌটা গুল ( তামাক গুড়া ) পানিতে মিশিয়ে দিলে ফল ভাল পাওয়া যায়। ৪। সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করা। যেমন এডমায়ার ০.৫ মিলি বা ০.২৫ মিলি ইমিটাফ বা ২ মিলি টাফগর/রগব/সানগর প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা

*15*রোগের নামঃ শসার পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা

লক্ষণঃ ১। ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। ২। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।

ব্যবস্থাপনাঃ১। আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা বা পুড়ে ফেলা। ২। আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা । ৩। সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক (যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

*16*রোগের নামঃখিরার বেলী রট

লক্ষণঃ এ রোগ হলে ফলের নিচের দিকে সাধারণত ফাটল ধরে ও ফল পঁচে যায় ।ফলে পানি ভেজা বড় আকারের পঁচা জায়গা দেখা যায় ।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • ক্ষেত থেকে আক্রান্ত ফল তুলে ফেলা।
  • পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
  • ফল যেন মাটির সংস্পর্শে না আসে সেজন্য ফলের নিচে খড় বা পলিথিন বিছিয়ে দেয়া।
  • একই জমিতে বার বার কুমড়া জাতীয় সবজি চাষ করবেন না।
  • সুষম সার ব্যবহার করা।
  • গভীরভাবে চাষ দিয়ে মাটি উলট-পালট করে দিন।

*17*রোগের নামঃ খিরার কোণাচে দাগ রোগ. ছত্রাক

লক্ষণঃএ রোগ হলে পাতায় বাদামি দাগ দেখা যায়।দাগের কেন্দ্র গাঢ় বাদামি কিন্তু বাইরের দিক হালকা বাদামি।ব্যপক আক্রমণে পাতা মরে যায়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • ক্ষেত থেকে আক্রান্ত পাতা তুলে ফেলা।
  • রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা।
  • ম্যানকোজেব অথবা (ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করা।
  • সুষম সার ব্যবহার করা।
  • গাছের পরিত্যাক্ত অংশ ধ্বংস করা।

*18*রোগের নামঃ খিরার পিথিয়াম ফল পচা রোগ

লক্ষণঃএ রোগ হলে ফলের নিচের দিকে মাটির সাথে লেগে থাকা অংশে প্রথমে পচন ধরে দ্রত ফল পচে যায়।পচা অংশে তুলার মত জীবানুর অংশ দেখা যায়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • ক্ষেত থেকে আক্রান্ত ফল তুলে ফেলা।
  • পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা।
  • ফল যেন মাটির সংস্পর্শে না আসে সেজন্য ফলের নিচে খড় বা পলিথিন বিছিয়ে দেয়া।
  • একই জমিতে বার বার কুমড়া জাতীয় সবজি চাষ করবেন না।

*19*রোগের নামঃ শসা ঢলে পড়া রোগ – Wilt of Cucumber (Fusarium sp.) ছত্রাক রোগ।

লক্ষণঃ রোগ জীবাণু গাছের শিকড় নষ্ট করে দেয় ফলে শিকড় দিয়ে রস গাছের কান্ডে পৌছাতে পারে না এর ফলে রসের অভাবে ঢলে পড়ে ও গাছ মারা যায়।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ

  • আক্রান্ত গাছ তুলে নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলা।
  • রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা।
  • প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম প্রোভেক্স বা ভিটাভেক্স -২০০ দ্বারা বীজ শোধন করা।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কমপ্যানিয়ন বা ৪ গ্রাম কুপ্রাভিট বা কপার অক্সিকোরাইড জাতীয় ছত্রাকনাশক গাছের গোড়ায় ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়

Naimuzzaman
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Change
KrishiMela
Logo
Register New Account
Shopping cart