স্পোডো-লিউর জৈব বালাইনাশক Spodo-Lure of Ispahani Agro Limited(IAL)স্পোডো-লিউর জৈব বালাইনাশক ফলের (আম, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ) মাছি পোকা দমনে ব্যবহার করা হয়।
ফল মার্বেল আকৃতির হলে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে।
“স্পোডোপটেরা লিটুউরা” “নকটুইডি” পরিবারের মথ জাতীয় পোকা। ইহা “টোব্যাকো কাটওয়ার্ম” বা “কটন লিফওয়ার্ম” নামেও পরিচিত।
তামাক ও তুলা ছাড়াও পোকাটি কচু, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সয়াবিন, বিট, সিম, বাদাম ইত্যাদি সহ প্রায় ৮৭ প্রজাতির ১১২ টি ফসলে খরিফ-১,২ এবং রবি সিজনে উল্লেখযোগ্য হারে সারা বছর ব্যাপী আক্রমন করে থাকে। পূর্ণাঙ্গ পোকা কোনো ক্ষতি না করলেও এর লার্ভা/কীড়া ফসলের পাতা, ফল ও অন্যান্য নরম অংশ খেয়ে ফসলের ক্ষতি করে থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী পোকা প্রায় ২০০০-২৫০০ ডিম পাড়ে। এই পরিমাণ ডিম থেকে উৎপন্ন কীড়া যদি ফসলের মাঠে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে শতভাগ ফসল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা কঠিন কিছু নয়। তাই পূর্ণাঙ্গ ও সফল ভাবে এই পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে প্রয়োজন পুনাঙ্গ পোকা, ডিম ও কীড়া বিনষ্টকারী বালাইনাশক।
অপরদিকে, রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করে এই পোকা দমনে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও রাসায়নিক কীটনাশকের প্রতি খুব দ্রুত রেজিস্টেন্স হয়ে পড়ায় অদূর ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে পোকাটি। তাই প্রয়োজন সঠিক সময়ে “সাশ্রয়ী, কার্যকর ও বিশ্বস্ত জৈব দমন ব্যবস্থা”।
একদিকে, রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাহারের ফলে জীব-বৈচিত্রের বিপর্যয় (যা তৈরি করতে পারে মানুষ বসবাসের অযোগ্য পৃথিবী), ভিবিন্ন প্রকার রোগ-বালাই, জেনারেশন গ্যাপের মত মারাত্মক সব ইস্যু সামনে চলে আসে। পাশাপাশি, বিষ যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেয়েও অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে মানুষ ও অন্যান্য জীব।
তাই নিরাপদ পুষ্টি যুক্ত খাদ্য উৎপাদন ও কার্যকর পোকা দমনে “জৈব বালাইনাশকে”র বিকল্প নাই।
বাংলাদেশে “স্পোডোপটেরা লিটুউরা” পোকা টি দমনে সাশ্রয়ী, কার্যকর ও বিশ্বস্ত জৈব দমন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সব উপাদান বাজার জাত করছে কৃষি ব্যবস্থাপনায় আপনাদের বিশ্বস্ত সহযোগী, দেশের প্রথম ও একমাত্র শতভাগ জৈব বালাইনাশক উৎপাদক, আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান “ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড”।
ডিম ধ্বংস কারী বন্ধু পোকা “ট্রাইকোগ্রামা, কীড়া ধ্বংস কারী বন্ধু পোকা “ব্রাকন হেবিটর”, পূর্ণাঙ্গ পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ “স্পোডো-লিউর” এবং কীড়া ধ্বংস কারী সব থেকে কার্যকর, বিশ্বস্ত ও অটো রিনিউয়াবল “স্পোডো-এনপিভি” (নিউক্লিয়ার পলিহেডরোসিস ভাইরাস) পাওয়া যাচ্ছে দেশের সর্বত্র ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের ডিলার পয়েন্টে।
“বিশ্বস্ত জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে শতভাগ পোকা দমন করুন,
বিষ মুক্ত, নিরাপদ পুষ্টির খাদ্য উৎপাদন করে নিজের পরিবার ও জাতিকে বিষ মুক্ত রাখুন।”
[ছবি: স্পোডোপটেরা লিটুউরা পোকার ডিম ও কীড়া
ফসল: কচু
স্থান: দাউদপুর, রাণীনগর, নওগাঁ]
কৃষিবিদ নিয়াজ মোর্শেদ
উপ নির্বাহী বাজার উন্নয়ন কর্মকর্তা
ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড, বগুড়া।
স্পোডো-লিউর জৈব বালাইনাশক কুমড়া জাতীয় সবজির মাছিপোকাদের ধ্বংস করতে ইস্পাহানি এগ্রো’র অত্যন্ত কার্যকরী ফেরোমোন ফাঁদ – কিউ ফেরো ব্যবহার করুন । এই ফেরোমোন ফাঁদটি লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, শসা, ক্ষিরা, ঝিঙ্গা, করলা, কাকরোল, চিচিঙ্গা, উচ্ছে, ধুন্দল, তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি কুমড়া জাতীয় সবজির মাছি পোকাকে দমন করে ফসলকে রাখে সুরক্ষিত।
বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে তারা এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন। গাজীপুর মহানগরের ভাদুন এলাকার কৃষক জ্ঞানেন্দ্রনাথ সরকার জৈব বালাইনাশক পদ্ধতি ব্যবহারের একজন কৃষক। তিনি বলেন,‘লাউ, ফুলকপি, কুমড়া, করলা, পেঁপে, পেয়ারা প্রভৃতি মৌসুমি ফসলে তিনি জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেন। এ পদ্ধতি প্রয়োগে ১৭৫ শতক জমি থেকে খরচ বাদে বছরে তার কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়।
স্পোডো-লিউর জৈব বালাইনাশক ফেরোমন ফাঁদ তৈরির জন্য সাধারণত তিনটি উপাদান প্রয়োজন হয় যেমন-বিএসএফবি-ফেরো জৈব বালাই নাশক টোপ, একটি ফাঁদ (বৈয়াম) এবং ফাঁদ স্থাপনের জন্য ১/২টি খুঁটি। এ ফাঁদে ২২ সেমি. লম্বা চার কোণাকৃতি বা গোলাকার একটি প্লাষ্টিকের পাত্র ব্যবহার করা হয়। বৈয়ামের তলদেশে ৩/৪ সেমি. সাবান মিশ্রিত পানি রাখতে হবে এবং পানির ২/৩ সেমি. উপরে টোপ ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
প্রায় তিন লিটার পানি ধারণ ক্ষমতাযুক্ত ২২ সেমি. গোলকার বা চার কোণা বিশিষ্ট প্লাষ্টিকের পাত্র (বৈয়াম) এর উভয় পার্শ্বে পাত্রের নিচ বা তলা হতে ৪-৫ সেমি. উঁচুতে ত্রিভূজাকারে কেটে ফেলতে হবে। ত্রিভূজের নিচের বাহু সাধারণত ১০-১২ সেমি. এবং উচ্চতা ১১-১২ সেমি. হওয়া বাঞ্চণীয়।
সাবান মিশ্রিত পানি সব সময় পাত্রের তলা হতে উপরের দিকে কমপক্ষে ৩-৪ সেমি. পর্যন্ত রাখা আবশ্যক। পাত্রের ঢাকনার মাঝে কালো রং এর একটি ল্যুপ বসানো থাকে। ল্যুপের নিচের ছিদ্রে সরু তার বাঁধা হয়। তারের অপর মাথায় বিএসএফবি-ফেরো জৈব বালাই নাশকসম্বলিত টিউব (লিউর) এমনভাবে বাঁধতে হবে যেন লিউরটি সাবান মিশ্রিত পানি হতে ২-৩ সেমি. উপরে থাকে। সতর্ক থাকতে হবে যেন পাত্রের তলায় রক্ষিত সাবান পানি শুকিয়ে না যায়। যত্নের সাথে ব্যবহার করলে একটি পাত্র (বৈয়াম) ২-৩ মৌসুম পর্যন্ত চলতে পারে। কুমড়া জাতীয় সকল সবজি (লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শশা, ক্ষিরা, ঝিঙ্গা, করলা, কাকরোল, ইত্যাদি) এর মাছি পোকা দমনে ব্যবহার করা হয়।
ফাঁদ স্থাপনের সময়ঃ ফুল আসার দুই সপ্তাহ আগে জমিতে ফাঁদ স্থাপন করতে হবে। প্রতি ৩ শতক জমির জন্য ১টি ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি বিঘায় ১০ টি বিএসএফবি-ফেরো জৈব বালাই নাশক ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে।ফাঁদ হতেফাঁদের দূরত্ব ১২ মিটার ।
স্পোডো-লিউর জৈব বালাইনাশক ফলের (আম, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ) মাছি পোকা দমনে ব্যবহার করা হয়।
ফল মার্বেল আকৃতির হলে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি ৩ শতক জমিতে ১ টি ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি বিঘায় ১০ টি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। ফাঁদ হতে ফাঁদের দূরত্ব ১২ মিটার । বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারি (মাজরা) পোকা দমনে ব্যবহার করা হয়। চারা লাগানোর ৩ সপ্তাহের মধ্যে জমিতে স্থাপন করতে হবে। প্রতি ২.৫ শতকে ১টি ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি বিঘাতে ১২ টি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। ফাঁদ হতে ফাঁদেরদূরত্ব ১০ মিটার । ফুলকপি, বাঁধাকপি, তরমুজ, কচুর লেদা পোকা, টমেটো ও তুলা লেদা পোকা / আঁচা পোকা দমনের জন্য ব্যবহার করা হয়। চারা রোপনের ৩ সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে, কচুর ক্ষেত্রে বীজ লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে লাগাতে হবে। প্রতি ৬ শতক জমিতে ১ টি ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। ফাঁদ হতে ফাঁদেরদূরত্ব ২৫ মিটার । এ ট্রাপের দাম অন্যগুলোর দ্বিগুন।