বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা

Add to wishlistAdded to wishlistRemoved from wishlist 0

বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা বাংলাদেশের ফল চাষের দিক থেকে পেয়ারা চাষ অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে সবথেকে আপডেট জাত হল থাই গোল্ডেন ৮ (Golden 8 Thai Guava) । আমাদের দেশের কৃষকেরা অত্যান্ত লাভজনকভাবে এ জাতের পেয়ারার চাষাবাদ করে সাফল্যের দ্বার প্রান্তে পৌছে গেছে। এ জাতের পেয়ারা খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু হয়।

50.00৳ 

Sold By:  Plants Shop BD
0 out of 5
বিঃ দ্রঃপণ্যের দামের সাথে ডেলিভারি চার্জ যোগ হতে পারে। বিক্রেতার ফোন নম্বর (10AM-5PM) :
01954-148229
Item will be shipped in 1-3 business days
Category:
বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা
বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা
বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা বাংলাদেশের ফল চাষের দিক থেকে পেয়ারা চাষ অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে সবথেকে আপডেট জাত হল থাই গোল্ডেন ৮ (Golden 8 Thai Guava) । আমাদের দেশের কৃষকেরা অত্যান্ত লাভজনকভাবে এ জাতের পেয়ারার চাষাবাদ করে সাফল্যের দ্বার প্রান্তে পৌছে গেছে। এ জাতের পেয়ারা খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু হয়।
  • পলিব্যাগ ব্যবহার বা পেয়ারাতে ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার

বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা পলিব্যাগ ব্যবহার করে মানসম্মত পেয়ারা উৎপাদন করা যায় এবং পেয়ারা চাষে সেসব সমস্যা থাকে সে সমস্যা দূর করা যায়। প্রযুক্তিটি হচ্ছে পেয়ারা ফল পলিথিনের প্যাকেট দিয়ে প্রথমে ঢেকে দিতে হয়। এতে ফল পোকার আক্রমণ থেকে বেঁচে যাবে এবং ফলের রঙ, মান ও বাজার মূল্য বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে পলিথিনের ব্যাগটি ফলের বোঁটার সাথে হালকা করে বেঁধে দিতে হবে এবং ফলের নিচের দিকে পলিথিনের মুখটি খোলা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি সতর্কতা আছে সেটি হলো পলিথিনের নিচে কয়েকটি ছিদ্র করে দিতে হবে যেন পলিথিনের ভেতরে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে এবং জমাকৃত পানি বের হয়ে যেতে পারে। কারণ পেয়ারা থেকে যে পানি প্রস্বেদন হয় সেটি ভেতরে জমা থাকলে সেখান থেকে ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। পেয়ারা মার্বেলের চেয়ে একটু বড় হলেই ব্যাগ পরানো হয়। ব্যাগিং করলে মাছি পোকা ফলের গায়ে বসে না সেজন্য ফল ভালো থাকে আর সরাসরি কীটনাশক পেয়ারাতে পড়ে না, তাই স্বাস্থ্যসম্মত পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারা উৎপাদন ও ফলনে ব্যাগিং পদ্ধতি এক নবদিগন্তের যাত্রা শুরু করেছে।

  • বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা গাছের কুশিভাঙা

সাধারণত বৈশাখ মাসে পেয়ারার চারা লাগানো হয়। এরপর গাছ ৮-৯ মাস বয়সের গাছে ফল আসে এবং অতিরিক্ত বৃদ্ধি কমানো এবং ডাল সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য কুশি ভেঙে দেয়া হয়। কুশি ভাঙার ২০-২৫ দিনের মধ্যেই নতুন অতিরিক্ত কয়েকটি কুশি আসে। আর যত বেশি কুশি আসবে তত বেশি ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিবে।

  • জোড় কলমের মাধ্যমে

পেয়ারা একটি সম্ভাবনাময় ফসল। অনেক চাষিই আজ প্রতিষ্ঠিত এ ফল চাষ করে। সাধারণত বীজ থেকে উৎপাদিত চারা দ্বারাই আমাদের দেশে এর চাষ হয়ে থাকে। তবে এখন বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদন করে গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে উন্নত জাত সৃষ্টি করে তা কৃষকের মাঝে বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। বীজ থেকে যেন তেন ভাবে গজানো চারা ব্যবহার করে ফলের গুণগতমান কমে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ঢলে পড়া বা উইল্টিং রোগ পেয়ারা চাষের জন্য একটি অন্তরায়। তাই জোড় কলমের মাধ্যমে উইল্টিং প্রতিরোধী গাছ তৈরি করে পেয়ারার সফল উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পলি পেয়ারা, আঙুর পেয়ারা এবং স্ট্রবেরি পেয়ারার জাতের চারাকে আদিজোড় হিসেবে ব্যবহার করে পেয়ারার উইল্ট রোগ এড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে আঙুর পেয়ারার বীজের চারা অনেক চিকন হয় বলে জোড় কলমের ক্ষেত্রে পলি পেয়রা ও স্ট্রবেরি পেয়ারা বীজের চারাকে আদিজোড় হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তিনভাবে ফল ধরা নিয়ন্ত্রণ করে পেয়ারা উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব- ক. মৌসুমি ফল উৎপাদনের সময়ে কিছু ফুল ও ফল ছিঁড়ে দিয়ে অমৌসুমি ফল ধরাকে উৎসাহিত করে; খ. সার, পানি ও হরমোন প্রয়োগ কাক্সিক্ষত মাত্রায় ব্যবহার করে; গ. ব্যান্ডিং বা বাঁকানো পদ্ধতি ব্যবহার করে।

  • ফুল ও ফল ছিঁড়ে ফল ধরা নিয়ন্ত্রণ

বর্ষাকালের ফলন পুরোপুরিভাবে বন্ধ করতে পারলে বা কমাতে পারলে শীতকালের ফলন অনেকটা বাড়ানো যায়। এজন্য বসন্তকালে গাছের চারদিকের মাটি খুঁড়ে শিকড় বের করে দিতে হবে। এরপর ১৫-১৬ দিন এভাবে রাখার ফলে সব পাতা হলদে হয়ে ঝড়ে পড়ে। এরপর গাছের গোড়ায় বিভিন্ন জৈব এবং অজৈব সার দিয়ে সেচ দিতে হবে। ফলে বর্ষার সময় নতুনভাবে ডালপালা ও ফুল ধরে। এছাড়াও এপ্রিল-মে মাসে সেগুলোকে ছিঁড়ে দিলে বর্ষায় ফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এরপর আগস্ট-অক্টোবর মাসে প্রচুর ফুল আসে এবং শীতের সময় অধিক হারে পেয়ারা পাওয়া যায়। তবে এ পদ্ধতি ব্যয়বহুল ও সময়সাধ্য।

  • ব্যান্ডিং বা শাখা-প্রশাখা বাঁকানো পদ্ধতির মাধ্যমে অসময়ে ফল ধারণ

শাখা-প্রশাখা বাঁকানোর মাধ্যমে বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা অসময়ে বা সারা বছর ধরে ফুল ও ফল ধারণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গাছের বয়স দেড় বছর থেকে দুই বছর হলেই এ পদ্ধতি শুরু করতে হয় এবং ৫-৬ বছর পর্যন্ত এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত বছরে দুইবার এ পদ্ধতিতে পেয়ারার ফুল ও ফল নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সাধারণত এপ্রিল-জুন মাস পর্যন্ত একবার বাঁকানো হয়। আর সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে দ্বিতীয়বার ডাল বাঁকানো হয়। ডাল বাঁকানোর ১০-১৫ দিন আগে সার ও পানি দিতে হবে। ডাল বাঁকানোর সময় শাখাটির অগ্রভাগের প্রায় এক-দেড় ফুট মতো পাতা ফুল ফল রেখে বাকি অংশের পাতা, ফুল ফল ও ছোট ডাল কেটে ফেলতে হয়। এভাবে সব শাখা-প্রশাখা গুলোকে তৈরি করে নেয়া হয়। এরপর সুতলি দিয়ে গাছের ডালের মাথায় বেঁধে গাছের শাখা-প্রশাখাগুলোকে বেকিয়ে গাছের কা-ের সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয়। এছাড়া মাটিতে খুঁটি পুঁতে খুঁটির সাথেও বেঁধে দেয়া যেতে পারে। এপ্রিল থেকে জুন সময়ে ডাল বাঁকানোর ১০-১২ দিন পর নতুন ডাল বের হয়। নতুন ডাল ১ সেমি. মতো হলে বাঁধা জায়গা খুলে দেয়া হয়। আবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর ডাল বাঁকানো হলে ডাল বাঁকানোর ২০-২৫ দিন পরে নতুন ডাল গজাতে শুরু করে। সাধারণত ডাল বাঁকানোর ৪৫-৬০ দিন পরে ফুল ধরতে শুরু করে। সাধারণত নতুন ডালে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ জোড়া পাতার কোলে ফুল আসে। আর ডাল বাঁকানোর পরে যদি বৃষ্টি আসে বা আর্দ্র আবাহাওয়া ৩-৪ দিন থাকে তাহলে নতুন ডালের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে যার ফলে ফুলহীন অঙ্গজ বৃদ্ধি ঘটে। এভাবে এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ডাল বাঁকানো হলে ফল পাকতে শুরু করে অক্টোবর-জানুয়ারি মাসের মধ্যে। আবার সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে ডাল বাঁকানো হলে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে ফল পাকে। এ সময়ের ফল মিষ্টি হয় ও অন্যান্য সব গুণাগুণ বেশি থাকে। ফলের আকৃতি, রঙ সুন্দর হওয়ায় এ সময়ের পেয়ারার বাজরদর ভালো পাওয়া যায়।

User Reviews

0.0 out of 5
0
0
0
0
0
Write a review

There are no reviews yet.

Be the first to review “বারোমাসি গ্লোন্ডেন ৮ পেয়ারা”

No more offers for this product!
Change
KrishiMela
Logo
Register New Account
Chat Now
Chat Now
Questions, doubts, issues? We're here to help you!
Connecting...
None of our operators are available at the moment. Please, try again later.
Our operators are busy. Please try again later
:
:
:
Have you got question? Write to us!
:
:
This chat session has ended
Was this conversation useful? Vote this chat session.
Good Bad
Shopping cart