নিম তেল জৈব বালাইনাশক ১ লিটার
নিম তেল জৈব বালাইনাশকহল চিরসবুজ নিম গাছের ফল থেকে প্রাপ্ত এক ধরণের উদ্ভিজ্জ তেল। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম আজাদিরছতা ইন্ডিকা (Azadirachta Indica)। নিম গাছ মূলত ভারতীয় উপমহাদেশেই পাওয়া যায়। এই নিম তেলের দুই প্রধান উপাদান হল আজাদিরচটিন (Azadirachtin) এবং ট্রাইটারপেনয়েড (Triterpenoid)। এদের অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিপাইরেটিক এবং অ্যান্টিহিস্টামাইন বৈশিষ্ট্য বহু রোগের বিরুদ্ধে মানুষকে লড়াই করতে সাহায্য করে।
950.00৳
নিম তেল জৈব বালাইনাশক
গাছের যত্নে নিম তেলের ব্যবহারঃ
> নিম তেল একইসাথে একটি কার্যকরী জৈব কীটনাশক,ছত্রাকনাশক ও মাকড়নাশক হিসেবে কাজ করে ।
> নিম তেল ছত্রাক, জাবপোকা, ম্যাপ পোকা, মিলিবাগের আক্রমণ সহ অসংখ্য রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
> নিম তেলের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলদায়ী গাছেও নিশ্চিন্তে নিম তেল ব্যবহার করা যায়।
গাছে ব্যাবহারের নিয়ম :
১ লিটার নিম তেলের স্প্রে তৈরি করতে ২ মিঃ লিঃ তরল সাবানের সাথে ১০ মিঃ লিঃ নিম তেল মেশাতে হবে , অতঃপর ১ লিটার পরিস্কার পানি ঐ মিশ্রনের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত গাছগুলোতে সকাল ও বিকেলে ২ বার স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পর পর।
বিশেষ সতর্কতা :
প্রথমে একটি গাছে স্প্রে করে ৩ দিন অপেক্ষা করে দেখুন গাছের কোন সমস্যা হচ্ছে কী না। কোনোরূপ সমস্যা পরিলক্ষিত না হলে সকল গাছে স্প্রে করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
– নিম ফলের বীজ থেকে নিম তেল তৈরি হয়। তাই নিম পাতা সিদ্ধ পানির থেকে এটা অনেক বেশি কার্যকরী ।
– নিম ফল থেকে সরাসরি নিম তেল সংগ্রহ করা হয় , কাজেই নিম তেলের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সন্দেহের কোনোরূপ অবকাশ নেই।
নিম হল ঔষধি গাছগুলির মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান গাছ, যার সমস্ত অংশই ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। ফল থেকে শুরু করে বীজ, পাতা থেকে বাকল এবং শিকড় থেকে ফুল – নিমের সব অংশই প্রাচীন কাল থেকে স্বাস্থ্যের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যখন মুড়ি-মুড়কির মতো ওষুধ খাওয়ার এত চল ছিল না বা বলা ভালো অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ওষুধের এত রমরমা হয়নি, তখন আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে নিমের নিয়মিত ও পরিমিত ব্যবহারই ছিল বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার অতুলনীয় প্রতিকার। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, কসমেটিক বা প্রসাধনী সামগ্রী হাতের কাছে পাই ঠিকই, তবুও নতুন যুগের পণ্য ও ওষুধের উদ্ভাবনে এবং চিকিৎসা ও সুস্থতার ক্ষেত্রে নিমের স্থান এখনও অনেক ওপরে।স্টাইলক্রেজের এই নিবন্ধে আজকে আমরা নিম তেলের বহুমুখী ব্যবহার এবং উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি জানতে পারবেন, শরীরের কোন কোন সমস্যার জন্য আপনি নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
নিম তেল কী?
নিম তেল জৈব বালাইনাশক হল চিরসবুজ নিম গাছের ফল থেকে প্রাপ্ত এক ধরণের উদ্ভিজ্জ তেল। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম আজাদিরছতা ইন্ডিকা (Azadirachta Indica)। নিম গাছ মূলত ভারতীয় উপমহাদেশেই পাওয়া যায়। এই নিম তেলের দুই প্রধান উপাদান হল আজাদিরচটিন (Azadirachtin) এবং ট্রাইটারপেনয়েড (Triterpenoid)। এদের অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিপাইরেটিক এবং অ্যান্টিহিস্টামাইন বৈশিষ্ট্য বহু রোগের বিরুদ্ধে মানুষকে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই দুই ফাইটোকেমিক্যালস- এর জন্যই নিমের স্বাদ এত তেতো হয়। নিমের যে বহুমুখী ঔষধি গুণাগুণ, সেক্ষেত্রেও এই দুটি ফাইটোকেমিক্যালই প্রধান অবদানকারী। যদিও খাঁটি নিম তেলে ক্যাম্পেস্টেরল, বিটা-সিটোস্টেরল এবং স্টিগমাস্টেরলের মতোো স্টেরল উপাদান ও প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যালকালয়েড থাকে, যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এবং দৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। (১)
জৈব বালাইনাশক নিম তেল গুণ অতুলনীয়। বলা হয়ে থাকে নিমতেল, নিমের বাকল ও পাতার নির্যাসের ব্যবহারে ক্যান্সার, টিউমার, স্কিন ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগও ভালো হয়ে যায়। রোগ নিরাময়, রূপচর্চার পাশাপাশি নিম তেলকে প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসাবে ব্যবহার করার চলও রয়েছে। নিম তেলের উপাদানগুলির মিশ্রণ গাছ ও পশুপাখির বিভিন্ন রোগও নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করে এবং কীটপতঙ্গদের নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করে। তেলটি কেবল মানুষই নয়, সবরকমের স্তন্যপায়ী প্রানী, গাছপালা, পাখি এবং মৌমাছির জন্যও একেবারেই নিরাপদ এবং উপকারী। নিম তেল প্রকৃতির ক্ষেত্রে খুব একটা ক্ষতিকারক নয়, তবে নিম তেলে উপস্থিত আজাদিরচটিন (Azadirachtin) নামক উপাদানটি জলজ প্রাণীদের ক্ষেত্রে কখনও কখনও বিষাক্ত হতে পারে। (২)
জৈব বালাইনাশক নিম তেল কীভাবে বানানো হয়?
প্রসাধনী সামগ্রী নির্মাণে ও রূপচর্চায়, জীবাণুনাশক হিসেবে, প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে, যক্ষ্মা ও ডায়বেটিক রোগের ওষুধ নির্মাণে নিম তেলের ব্যবহার অনস্বীকার্য। সাধারণত নিম ফলের বীজ থেকেই নিম তেল তৈরী করা হয়। যদিও নিম পাতা নারকেল তেলে ফুটিয়ে আমরা মাথায় লাগাই। এতে দ্রুত মাথা ধরা ও খুসকি কিংবা চুল পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে বাজারে যে নিম এক্সট্রাক্ট ওয়েল বা নিম তেল পাওয়া যায়, সেই তেল নিম বীজের নির্যাস বের করেই বানানো হয়।যান্ত্রিক চাপ প্রয়োগ পদ্ধতি (mechanical pressing method), জটিল তরল নিষ্কাশন পদ্ধতি (fluid extraction method), দ্রাবক নিষ্কাশন পদ্ধতি (solvent extraction method) – এর মতো বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগে বীজ থেকে নির্যাস বার করে নিম তেল বানানো হয়। (৩) তাই তেলের রঙও হয় বিভিন্ন ধরনের। যেমন – স্টার্ক লাল, সবুজ-বাদামী, হলুদ-বাদামি, সোনালি-হলুদ এবং গাঢ় বাদামী। নিম তেলের প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির উপর নির্ভর করে তেলের রঙ, গুণাগুণ এবং দাম কেমন হবে। যান্ত্রিক চাপ প্রয়োগ পদ্ধতিতে বানানো নিম তেলই বহুল ব্যবহৃত, কারণ এর দামও হয় কম। তবে, তরল নিষ্কাশন পদ্ধতিতে বানানো নিম তেলের দাম সামান্য কিছু বেশী হলেও এর বিশুদ্ধতা এবং গুণাগুণ বেশী। প্রসাধনী সামগ্রী নির্মাণে দ্রাবক নিষ্কাশন পদ্ধতিতে বানানো তেল ব্যবহৃত হয়। তাই, নিম তেলের গুণমান নিশ্চিত করতে অবশ্যই কেনার সময় এর প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি কী তা দেখে কিনবেন।
নিম তেলের উপকারিতা
বহু বছর ধরে নিম আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেক রোগের চিকিত্সার জন্য নিম গাছের পাতা, বাকল, ডাল, ফলের বীজ ও অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়। নিমের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতোা বাড়ানোয়, বিভিন্ন রোগের ওষুধ প্রস্তুতিতে নিম তেল ব্যবহার করা হয়। এর জীবাণু ধ্বংসকারী গুণের জন্য শরীরে জ্বলাপোড়া, এলার্জি, একজিমা, স্ক্যাবিস, খুসকিসহ বিভিন্ন জটিল চর্মরোগ নির্মূলে, ব্রণ, ফুসকুড়ি বা ফোঁড়া ছাড়াও ত্বকের অনেক সমস্যার চিকিৎসায় নিম তেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নিমের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ত্বকে বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস করে মুখ ও সমগ্র ত্বককে সতেজ রাখে। নিম তেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দাগ দূর করে, ত্বককে উজ্জ্বল ও দাগহীন করে তোলে।
User Reviews
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
General Inquiries
There are no inquiries yet.
There are no reviews yet.