
[ad_1]
উদ্যোক্তা আজকের বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুঞ্জন হয়ে উঠেছে। আরও বেশি সংখ্যক লোক তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার এবং আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার উপায় খুঁজছে। বাংলাদেশে, উদ্যোক্তারা লাভজনক কৃষি উদ্যোগে মনোযোগ দিয়ে সাফল্য খুঁজে পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে কৃষির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। জনসংখ্যার 50% এরও বেশি কৃষির সাথে জড়িত, উদ্যোক্তাদের জন্য এই খাতে বিনিয়োগ করার জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিজেদের কৃষি ব্যবসা শুরু করে অন্য লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছেন।
বাংলাদেশের কৃষিতে উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে সফল উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হলেন অনন্যা আজাদ, যিনি 2001 সালে এসিআই এগ্রিবিজনেস নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এসিআই এগ্রিবিজনেস একটি ছোট উদ্যোগ হিসাবে শুরু হয়েছিল এবং একটি নেতৃস্থানীয় কৃষি ফার্মে পরিণত হয়েছে যা বিস্তৃত পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করে। সারাদেশের কৃষকদের কাছে। বর্তমানে, কোম্পানিটি বাংলাদেশের কৃষি শিল্পের একটি প্রধান খেলোয়াড় এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশের কৃষিতে আরেকটি সফল উদ্যোগ হল খুচরা চেইন “কৃষিবিদ গ্রুপ”। এই উদ্যোক্তা সংস্থাটি কৃষকদের কাছে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে সরাসরি কৃষি পণ্য বিক্রি এবং তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের দিকে মনোনিবেশ করে। কৃষিবিদ-এর দোকানে বিক্রি হওয়া পণ্যের বড় অংশই তাদের নিজস্ব খামার থেকে উৎপাদিত অভ্যন্তরীণ উৎপাদন। গ্রুপটি এতটাই সফল হয়েছে যে এটি এখন বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় 70টির বেশি খুচরা দোকান রয়েছে।
বাংলাদেশে কৃষি উদ্যোগ শুরু করার সময় উদ্যোক্তারা যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হন তা হল অর্থায়ন এবং ঋণের অ্যাক্সেসের অভাব। দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক ছোট ব্যবসাকে ঋণ দিতে দ্বিধাবোধ করে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য শুরু করা কঠিন করে তোলে।
যাইহোক, এখনও কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কৃষিতে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ইচ্ছুক। উদাহরণস্বরূপ, 2016 সালে চালু হওয়া একসেস টু ইনফরমেশন (a2i) প্রোগ্রাম উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসায় সমর্থন করার জন্য উপলব্ধ অর্থায়ন এবং সংস্থানগুলির সাথে সংযুক্ত করার জন্য কাজ করছে। এটি এই ধরনের উদ্যোগ যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে কৃষি খাতকে রাখতে এবং সম্ভাব্যভাবে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
উপসংহারে, উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে কৃষি উদ্যোগে সাফল্য খুঁজে পাচ্ছেন এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা পেলে বাংলাদেশ কৃষির একটি হাব এবং বিশ্ববাজারে একটি উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় হতে পারে।
[ad_2]