Hybrid (F1) Cucumber Seed Thai-Green (Mini Pack)
৳ 30.00
বীজের হার:এক শতকে-২-৩ গ্রাম, একর-প্রতি-২০০-৩২৫ গ্রাম, হেক্টর-প্রতি-৫০০-৮০০গ্রাম
জমি তৈরি:বার চারেক চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটি ঝুরঝুরে করে নেওয়া হয়৷ আগাছা সম্পূর্ণ পরিষ্কার কেও ক্ষেত সমতল করে নিতে হবে৷
মাদা-তৈরি:৫০-৮০ সে. মি. চওড়া ও গভীর-গর্ত তৈরি করতে হয়৷
মাদার দূরত্ব:২-২.৫ মি: দূরে মাদা তৈরি করতে হয়৷ বহুয়ে শসার দূরত্ব আরও মক৷
বীজ বপন : প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ লাগাতে হয়৷ বীজ একদিন ও একরাত ভিজিয়ে-লাগানো ভালো
জীবনকাল
শসার জীবন কাল সাধারণত জাত ভেদে ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত।
জমি তৈরি ও চারা রোপন
শসা গাছের চার লাগানোর পূর্বে ৩- ৪ বার গভীর চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। আগাছামুক্ত ঝুরঝুরা করে নিতে হবে। চাষের সময় জমিতে সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেসব জমি উঁচু ও বর্ষার পানি আটকে থাকে না এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। শসার চাষ করে ক্ষেত্রে বেড তৈরি করে দিতে হবে। এবং প্রতি বেডের মাঝে সারি করে ২ মিটার দূরে দূরে সবদিকে ৫০ সেন্টিমিটার মাপে গর্তকরে মাদা তৈরি করতে হবে। মাদা তৈরি করে সেখানে সরাসরি দুইটি করে বীজ বুনে দেওয়া যায়। ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। হেক্টর প্রতি ৩ থেকে ৪ কেজি বা শতক প্রতি ১২ থেকে ১৫ গ্রাম বীজ লাগে। বীজের আঁকারের দ্বিগুণ গভীরে বীজ বপন করা ভাল। পলিব্যাগ থেকে চারা অপসারনের সময় পলিব্যাগে পানি সেচ দিতে হবে। তাহলে চারা অপসারনের সময় চারার শেকড় ভেঙে বের হবে না বা নষ্ট হবে না। বিকেলবেলা চারা রোপন করতে হবে এতে চারা কম মরে। চারা লাগানর পরে চারার গোঁড়া মাটি দিয়ে টিপে দিতে হবে। এরপর পানি সেচ দিতে হবে।
শসা চাষে সার প্রয়োগ/ব্যবস্থাপনা
শসার বেশি ফলন ও গাছের বৃদ্ধির জন্য নিয়মমতো সার দিতে হবে। প্রতি মাদায় পচা গোবর, ছাই, পচা কচুরিপানা, জৈব সার ইত্যাদি মিলিয়ে ৫-৬ কেজি, ১০০ গ্রাম টিএসপি, ৬০-৭০ গ্রাম এমপি সার প্রয়োগ করে মাটিতে ভালোমতো মিশিয়ে দিতে হবে। ১৫-২০ দিন পর পর প্রতি মাদায় ৫০ গ্রাম হারে ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
শসা চাষে সেচ ও পানি নিষ্কাশন
শসা পানির প্রতি খুব সংবেদশীল। মাটিতে রস কম থাকলেই সেচ দেয়া প্রয়োজন। তবে ইউরিয়া উপরি প্রয়োগের পর সেচ দেয়া উত্তম। খেয়াল রাখবেন শসা গাছের মাটি শুকিয়ে গেলে ফুল ঝরে যায় এবং গাছ ঢলে আসে। আবার বর্ষাকালে ক্ষেতে পানি জমে থাকলেও শসার জন্য ক্ষতিকর। বৃষ্টি বেশি হলে সেচ দেয়ার দরকার নেই। কয়েকদিন পানি জমে থাকলেই গাছের গোঁড়া পচে মরে যেতে পারে। সেজন্য নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
শসা চাষে আগাছা ও নিড়ানি
জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। প্রতিবার ইউরিয়া সার দেয়ার পর আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে সেচ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে। গাছ লতানোর জন্য মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছ একটু বড় হলেই মাচা তৈরি করে দিতে হবে। রোগবালাই দমনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। মনে রাখবেন শসা গাছ বিভিন্ন রোগের আশ্রয়দাতা। তাই ক্ষেত সবসম্য আগাছামুক্ত রাখতে হবে
শসা চাষে পোকামাকড় ও রোগদমন
ডাউনি মিলডিউ শসার সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ। এ রোগ হলে পাতার নিচে প্রথমে জলবসা গোল গোল দাগ পড়ে। পরে দাগগুলো শুকিয়ে বাদামি হয় ও ওপরে উঠে আসে। শেষে পুরো পাতাই শুকিয়ে ফেলে। এই রোগ হলে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে। ফলের মাছি কচি শসা নষ্ট করে। ফলের মাছি পোকা নিয়ন্ত্রনের জন্য জমিতে বিষ টোপ বা সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ পাততে হবে।
বীজ বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু করা যায়। খাওয়ার জন্য কচি থাকতেই সবুজ রঙের শসা তুলতে হবে। হেক্টর প্রতি ১০ থেকে ২০ টন অর্থাৎ শতক প্রতি ৪০ থেকে ৮০ কেজি শসা তোলা যায়।
User Reviews
Be the first to review “Hybrid (F1) Cucumber Seed Thai-Green (Mini Pack)”
General Inquiries
There are no inquiries yet.
There are no reviews yet.