সজনে পাতা গুঁড়া
সজনে পাতা গুঁড়া মিরাকল ট্রি” বা “অলৌকিক গাছ” খ্যাত সজনে গাছ চেনেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর ।৪২% আমিষ, ১২৫% ক্যালসিয়াম, ৬১% ম্যাগনোসিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% লৌহ, ২৭২% ভিটামিন-এ এবং ২২% ভিটামিন-সি সহ দেহের আবশ্যকীয়
সজনে পাতা গুঁড়া
মিরাকল ট্রি” বা “অলৌকিক গাছ” খ্যাত সজনে গাছ চেনেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর । কিন্তু আপনি কী জানেন কেনো এই নামকরণ? সজনে পাতার এমনও সব গুণ, যা পৃথিবীর তাবৎ সব গাছকেই হার মানায়। আর তাই সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় পুষ্টিগুণে ভরপুর সুপার ফুড। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা যার নাম দিয়েছেন, পুষ্টির ডিনামাইট ।
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে, সজনের সাথে সাথে সজনের পাতাও খাওয়া যায়। সজনে গাছের পাতা এবং ফল উভয়তেই বিপুল পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়৷ শুকনা সজিনা পাতার গুঁড়া থেকে ১-২ বছর বয়সী শিশুদের অত্যবশ্যকীয় ১৪% আমিষ, ৪০% ক্যালসিয়াম ও ২৩% লৌহ ও ভিটামিন-এ সরবরাহ হয়ে থাকে। দৈনিক ৬ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একটি গর্ভবর্তী বা স্তন্যদাত্রী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন সজিনার পাতা পুষ্টিগুণের আঁধার। নিরামিষভোগীরা সজিনার পাতা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারেন। পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনা করলে একই ওজনের সজিনা পাতায় কমলা লেবুর ৭ গুণ ভিটামিন-সি, দুধের ৪ গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুই গুণ আমিষ, গাজরের ৪ গুণ ভিটামিন-এ, কলার ৩ গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, সজিনা পাতায় ৪২% আমিষ, ১২৫% ক্যালসিয়াম, ৬১% ম্যাগনোসিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% লৌহ, ২৭২% ভিটামিন-এ এবং ২২% ভিটামিন-সি সহ দেহের আবশ্যকীয় বহু পুষ্টি উপাদান থাকে।
আর তাই অনেকে বলে থাকেন-
যেসব বাড়িতে আছে মিরাকল ট্রি,
তার প্রতিটাই একেকটা অক্সিজেন ফ্যাক্টরি।
There are no reviews yet.