ভার্মিকম্পোস্ট ৫ কেজি
ভার্মিকম্পোস্ট হচ্ছে এক প্রকার জৈব সার যা কেঁচো কম্পোস্ট নামেও পরিচিত। কেঁচো উদ্ভিদ অথবা প্রাণিজ বর্জ্য, বাসী গোবর ইত্যাদি খেয়ে মল ত্যাগ করে এবং মলের সাথে কেঁচোর দেহ থেকে নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ ও মিশ্রিত হয়। এই প্রক্রিয়াজাতকৃত উপাদান কেই ভার্মি কম্পোস্ট বলা হয়।
110.00৳
ভার্মিকম্পোস্ট ৫ কেজি
ভার্মিকম্পোস্ট হচ্ছে এক প্রকার জৈব সার যা কেঁচো কম্পোস্ট নামেও পরিচিত। কেঁচো উদ্ভিদ অথবা প্রাণিজ বর্জ্য, বাসী গোবর ইত্যাদি খেয়ে মল ত্যাগ করে এবং মলের সাথে কেঁচোর দেহ থেকে নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ ও মিশ্রিত হয়। এই প্রক্রিয়াজাতকৃত উপাদান কেই ভার্মি কম্পোস্ট বলা হয়।
ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি হতে কেঁচোর প্রজাতি, পরিবেশ ভেদে ৩০-৯০ দিন সময় লাগেতে পারে। নির্দিষ্ট প্রজাতির কিছু কেঁচো পঁচনশীল আবর্জনা, খড়কুটো, ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ ইত্যাদি খেয়ে মল ত্যাগ করে এবং কেঁচোর দেহের রাসায়নিক পদার্থ এই জৈব পদার্থের সাথে মিশ্রিত হয়ে গুণাগুণ আরো বাড়িয়ে দেয়। সার তৈরি হয়ে গেলে কেঁচো আর ঝুরঝুরা কম্পোস্ট আলাদা করে নিতে হবে।
ভার্মিকম্পোস্ট ৫ কেজি হচ্ছে এক প্রকার জৈব সার যা কেঁচো কম্পোস্ট নামেও পরিচিত। কেঁচো উদ্ভিদ অথবা প্রাণিজ বর্জ্য, বাসী গোবর ইত্যাদি খেয়ে মল ত্যাগ করে এবং মলের সাথে কেঁচোর দেহ থেকে নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ ও মিশ্রিত হয়। এই প্রক্রিয়াজাতকৃত উপাদান কেই ভার্মি কম্পোস্ট বলা হয়।আমাদের দেশের বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্মিকম্পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা চলছে এবং উন্নত মানের ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি করতে ইউড্রিলাস ইউজেনি এবং আইসেনিয়া ফিটিডা-কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে আবার ইউড্রিলাস ফিটিডার ব্যবহার বেশি। ইউড্রিলাস ইউজেনি কেঁচোর সহনশীলতা বেশি। বিভিন্ন জৈব কীটনাশক যেমন- নিম খোল, মহুয়া খোল, গ্লাইরিসিডিয়া, ইউপাটোরিয়ামের প্রতি অনেক বেশি সহনশীলতা দেখায়। বিভিন্ন ধরনের মাটির সাথেই কেঁচোর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয় তাই স্থানীয় মাটিতে সে স্থানের কেঁচোর সাহায্যেই জৈবসার তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাইরে থেকে কেঁচো নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। বড় গর্ত, ট্যাংক বা কংক্রিটের বৃত্তাকার পাত্র-রিং অথবা যে কোনো বড় পাত্রে কেঁচোর প্রজনন ঘটিয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়।
বিজ্ঞানী চালর্স ডারউইন সর্বপ্রথম কেঁচোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সবাইকে অবগত করান। ৫ কেজি তিনি বলেন কেঁচো ভূমির অন্ত্র এবং পৃথিবীর বুকে উর্বর মাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে, যার ওপর ফসল উৎপাদন করি। এ অতি সাধারণ, ক্ষুদ্র প্রাণীটি পচনশীল জৈবপদার্থ থেকে সোনা ফলাতে পারে, কেঁচোসার বা ভার্মিকম্পোস্টে রূপান্তরিত করে। আহার পর্বের পর যে পাচ্য পদার্থ মলরূপে নির্গমন হয় তাকে কাস্ট বলে। এ কাস্টের ভেতর জীবাণু সংখ্যা এবং তার কার্যকলাপ বাড়ার কারণে মাটির উর্বরতা বাড়ে। দেখা গেছে, পারিপার্শ্বিক মাটির তুলনায় কাস্টের মধ্যে জীবাণু সংখ্যা প্রায় হাজার গুণ বেশি। এ কাস্টের ওপরে বিভিন্ন প্রকার উৎসেচক উৎপাদনকারী ব্যাক্টেরিয়া জীবাণু বেশি থাকায় মাটির উর্বরতাও বাড়ে। কাস্টের কারণে মাটি থেকে গাছে ৬ শতাংশ নাইট্রোজেন এবং ১৫-৩০ শতাংশ ফসফরাস যোগ হতে দেখা গেছে। এছাড়াও অন্যান্য উদ্ভিদ খাদ্য উপাদান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম গাছ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারে। কেঁচোর উপস্থিতিতে জৈবপদার্থের কার্বন ও নাইট্রোজেন অনুপাত প্রায় ২০:১ এর কাছাকাছি হয়। এ অনুপাতে গাছ সহজেই কম্পোস্ট থেকে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে।
There are no reviews yet.