বাসন্তী – হাইব্রিড বেগুন
বাসন্তী – হাইব্রিড বেগুন Basonti-Hybrid Brinjal of Ispahani Agro Limited(IAL)কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে বেগুন চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে
40.00৳
ন বাসন্তী – হাইব্রিড বেগুন of Ispahani Agro Limited. Ispahani Agro Limited(IAL) is the leading and pioneering bio-pesticide marketing company in Bangladesh. We produce Bio-Pesticides, Bio-based lures, Pheromone Traps, Seeds and Agro processing products.
ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রান্নায় বেগুনের ফল ব্যবহার করা হয়। বেগুন মধুর, তীক্ষ্ণ ও উষ্ণ। পিত্তনাশক, জ্বর কমায়, খিদে বাড়ায় এবং পরিপাক করা সহজ। বেগুন ভর্তা, বেগুন পোড়া, এবং বেগুনী বানাতে এর ব্যবহার রয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশে ইফতারের জন্য বেগুনী একটি জনপ্রিয় খাবার। বেগুন এর ভর্তা অনেক জনপ্রিয়। এটি গ্রামবাংলার অনেক সুস্বাদু খাবার।
বীজতলা তৈরি[সম্পাদনা]
বেগুনের চাষাবাদ প্রধানত পলি মাটিতে বেশি হয়। বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। বীজতলা তৈরির সময় কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন-
- বীজতলায় যেন পানি না জমে।
- ঐ স্থানে সব সময় আলো-বাতাস থাকে।
- বীজতলার কাছাকাছি সেচের ব্যবস্থা থাকলে ভালো।
- রোগমুক্ত সবল চারা পেতে হলে বীজতলার মাটি শোধন করে নিতে হবে।
চারা উৎপাদন[সম্পাদনা]
বেগুন চাষের জন্য চারা উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শীতকালীন বেগুন চাষের জন্য শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি হতে আশ্বিন মাস এবং বর্ষাকালীন বেগুন চাষের জন্য চৈত্র মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা যায়। বালি, কমপোষ্ট ও মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়। সবল চারা পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি বীজতলায় বীজ বুনতে হয়। গাছ গজানোর ৮-১০ দিন পর চারা তুলে দ্বিতীয় বীজতলায় রোপণ করতে হয়। এতে চারা স্বাস্থ্যবান হয়। অতিরিক্ত পানিতে বীজ নষ্ট হয়ে যায়।
জমি তৈরি ও চারা রোপণ[সম্পাদনা]
- বেগুন বেশ কয়েক মাস ধরে মাঠে থাকে। তাই ভালো ফলন পেতে জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।
- সাধারণত মাঠের জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
- ৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময়ে চারাতে ৫-৬ টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ১৫ সে.মি. লম্বা হয়।
- চারা তোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শেকড় নষ্ট না হয়।
- চারা তোলার ১-২ ঘণ্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিলে শেকড় নষ্ট হয় না।
- বীজতলায় চারা তৈরি করে ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করে ৬০ সে.মি. দূরে দূরে লাগাতে হয়। বেগুনের জাতের গাছের আকার অনুয়ায়ী এ দূরত্ব ১০-১৫ সে.মি. কম-বেশি করা যেতে পারে।
- ১মিটার আকারের বীজতলায় প্রায় ৮-১০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয়। চারার বয়স ৩৫-৪০ দিন হলে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়।
সার প্রয়োগ[সম্পাদনা]
কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে বেগুন চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশী যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তূপ করে রেখে পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
সেচ ও নিষ্কাশন[সম্পাদনা]
- শীতকালীন ও আগাম লাগানো বর্ষাকালীন ফসলের জন্য বেগুনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়।
- বেলে মাটিতে ১০-১৫ দিন পরপর সেচ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
- বর্ষাকালীন ও বারমাসী বেগুনের ক্ষেত্রে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
চাষের সময় পরিচর্যা[সম্পাদনা]
- গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।
- জমিতে আগাছা দেখা দিলে মাঝে মাঝে তা পরিষ্কার করতে হবে।
- খরকুটো অথবা শুকনো কচুরিপানা দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে মাটিতে রস অনেক দিন থাকবে।
- বয়স্ক গাছে ফল উৎপাদন কমে গেলে গাছের প্রধান কাণ্ড গোড়ার দিকে ২০ সে.মি. রেখে গাছের বাকি অংশ কেটে দিতে হবে। এরপর সার ও সেচ দিলে কাণ্ডের কেটে দেওয়া জায়গা থেকে দ্রুত শাখা-প্রশাখা বেরিয়ে ফল দেওয়া শুরু করবে।
http://www.ispahaniagro.com/
https://www.linkedin.com/company/ispahaniagrolimited/
https://www.youtube.com/IspahaniAgroLimited
General Inquiries
There are no inquiries yet.