ইকো পাওয়ার মূল উপাদান: ট্রাইকোডার্ম হারজিনিয়া মইকো পাওয়ার বিভিন্ন ফসল যেমন- ধান, গম, আলু ভূট্রা, পাট ও কুমড়া জাতীয় সবজী, টমেটো বেগুন, মরিচ, রসুন, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, বাধাঁকপি, পিয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, তামাক, তুলা, পান, ডাল ও তৈল জাতীয় বিভিন্ন ফসলের মাটি বাহিত পঁচা রোগ, যেমন- শিকড় পঁচা, কান্ড পঁচা, ঢলে পড়া, পাতা ঝলসানো রোগ, পাতার দাগ রোগ ও বীজ শোধন, চারা শোধন, নার্সারি বেড শোধন এর জন্য ইকো পাওয়ার অত্যন্ত কার্যকরি।
এটি জৈব পদার্থের একটি উৎস যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শস্য উৎপাদনের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উৎপাদন সরবরাহ করে যেমনঃ
নাইট্রোজেন-২.৯%
ফসফরাস-২.২%
পটাসিয়াম-২.৩%
সালফার-২.৬%
ক্যালসিয়াম-৭.৪%
ম্যাগনেসিয়াম-১.৫%,
দস্তা-০.৫%
বোরন-০.৯%।
ভার্মি কম্পোস্ট সারের গুণাগুণ ও উপকারিতাঃ ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। মাটিতে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়। জমিতে হাল চাষ করতে সহজ হয়। সহজে সংরক্ষণ ও বাজারজাত করা যায়। মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাগুণ বৃদ্ধি করে। গাছের প্রয়োজনীয় ১৬টি খাদ্য উৎপাদনের অধিকাংশই এতে থাকে। অধিক ফসল উৎপাদন হয়। উৎপাদিত ফসলের গুণগতমান ভালো হয়। মাটির গঠন উন্নত করে। মাটির পিএইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ মাটির বিষক্রিয়া দূর করে। এ সারের গুণাগুণ মাটিতে দীর্ঘদিন অবশিষ্ট থাকে বলে পরবর্তী ফসলে সারের পরিমাণ কম লাগে।
ব্যবহার বিধি : ফসল ভেদে যে কোন ফসলের জন্য প্রতি শতাংশ জমিতে ২-৩ কেজি হারে কেঁচো সার মাটির সঙ্গে মিশাতে হবে। প্রতি শতাংশে ২-৩ কেজি হারে কেঁচো সার ব্যবহার করলে ওই জমিতে আগের চেয়ে অর্ধেক (৫০%) রাসায়নিক সার করলেই চলবে। এ নিয়মে ৩-৪ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করলে পরবর্তীতে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করলেও চলবে।
General Inquiries
There are no inquiries yet.