গ্রিনবল হাইব্রিড বেগুন বীজ-৫ গ্রাম
গ্রিনবল হাইব্রিড বেগুন বীজ-৫ গ্রাম বেগুনকে সাধারনভাবে উষ্ণ জলবায়ুর ফসল হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণত বেগুন ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালো ফলন দেয়। এর কম বা বেশি তাপমাত্রায় বেগুনের ফুল ও ফলধারণ ব্যাহত হয়।
Original price was: 160.00৳ .150.00৳ Current price is: 150.00৳ .
গ্রিনবল হাইব্রিড বেগুন বীজ-৫ গ্রাম
আসসালামু আলাইকুম।
Advanced Agriculture এর পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা
গ্রিন বল বেগুন (হাইব্রিড)
-প্রায় সারা বছর চাষ করা যায়।
– ব্যাক্টেরিয়াল উইল্ট(ঝিমানো রোগ) প্রতিরোধী।
– প্রতিটি বেগুনের ওজন প্রায় ২৫০-৩০০ গ্রাম।
– একর প্রতি গড় ফলন প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন।
– সব ধরণের মাটিতে চাষ করা যায়।
বেগুনকে সাধারনভাবে উষ্ণ জলবায়ুর ফসল হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণত বেগুন ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালো ফলন দেয়। এর কম বা বেশি তাপমাত্রায় বেগুনের ফুল ও ফলধারণ ব্যাহত হয়। বাংলাদেশে শীতকালীন জলবায়ু বেগুন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এর কারণ হল বেগুন অত্যাধিক তাপমাত্রায় ভালো ফলন দেয় না। উচ্চতাপমাত্রায় বেগুনের ফুল ও ফল উৎপাদনে বিঘ্নিত হয় এবং এসময় অনিষ্টকারী পোকার আক্রমন বেশি হয়। বাংলাদেশে রবি বা শীত মৌসুমে বহু জাতের বেগুনের চাষ করা যায়, কিন্তু গ্রীষ্মকালের জাতের সংখ্যা কম। গ্রীষ্ম বা খরিপ মৌসুমে অনেকজাতের গাছে ফুলই হয় না অথবা ফুল ফুটলেও ঝরে পড়ে। আমাদের দেশের সব রকমের মাটিতে বেগুন চাষ করা যায় এবং ভাল ফলনও দিয়ে থাকে। তবে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। বেলে দোআাঁশ বা দোআাঁশ মাটিই এই চাষের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট।
বেগুন চাষের জন্য উর্বর জমি যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়ায় না ও সবসময় আলো-বাতাস পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। এরপর উক্ত জমিতে ৪ থেকে ৫ বার চাষ দিয়ে তারপর মই দিয়ে জমির মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সেমি দূরত্বে সারি করে ৬০ সেমি দূরে দূরে রোপণ করতে হয়। লক্ষ্যণীয় চারার গোড়া রস ধরে রাখার জন্য চারার আটির গোড়াটি কাদার মধ্যে ডুবিয়ে নিতে হবে। তারপর চারা রোপণ করতে হবে। বিভিন্ন জাতের বেগুন গাছের আকার অনুযায়ী এ দূরত্ব ১০-১৫ সেমি কম বেশি করা যেতে পারে। জমিতে চারা রোপনের পর চারা যাতে শুকিয়ে না যায় সেজন্য সেচ দিতে হবে।
বেগুন চাষ করার ক্ষেত্রে বেগুন ক্ষেতে পরিমাণ মত সার দিতে হবে। বেগুন মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে থাকে। বৃদ্ধির প্রথমের দিকে খাদ্যের অভাব হলে গাছ দ্রুত বাড়ে না এবং পরে উৎপাদন কমে যায়। শেষ চাষের সময় প্রতি শতাংশ জমিতে ৪০ থেকে ৬০ কেজি গোবর সার, ৮০০ গ্রাম টিএসপি সার ও ৮০০ গ্রাম এমওপি সার দিতে হবে। চারা লাগানো ১০ থেকে ১৫ দিন পর ফল ধরা আরম্ভ হলে ফল আহরণের মাঝামাঝি সময় জমিতে সার দিতে হবে। বেগুন গাছে ইউরিয়া সার নিয়মিত কিস্তি করে দিতে হবে। প্রথম কিস্তি চারা লাগানোর ১০ থেকে ১৫ দিন পর। দ্বিতীয় কিস্তি ফল ধরা আরম্ভ হলে এবং তৃতীয় কিস্তি বেগুন সংগ্রহের মাঝামাঝি সময় দিতে হবে।
বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা। এছাড়াও আরও অনেক ধরণের পোকা বেগুন গাছের ক্ষতি করে থাকে। এর মধ্যে আছে কাঁটালে পোকা, বিছা পোকা, জাব পোকা, ছাতরা পোকা, কাটুই পোকা, থ্রিপস, পাতা মোড়ানো পোকা, ইত্যাদি পোকা বেগুন ক্ষেতের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এছাড়াও বেগুন গাছে বিভিন্ন ধরণের রোগ বালাইয়ের আক্রমণ হতে পারে। যেমন ঢলে পড়া রোগ, গোঁড়া পচা রোগ, ফল পচা রোগ, চারা ধসা রোগ ইত্যাদি রোগ বেগুন গাছের মারাত্মক ক্ষতি করে। এসব কোন ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে সঠিক মানে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। এবং নিয়মিত বেগুন গাছের যত্ন নিতে হবে।
পরিপক্ব হওয়ার আগেই বেগুন গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ফসল এমনভাবে সংগ্রহ করতে হবে যাতে বেগুন যথেষ্ঠ বড় হয় কিন্তু বীজ শক্ত হয় না। সাধারনত বেগুন গাছে চারা লাগানোর ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ফুল আসে এবং এর এক মাসের মধ্যে বেগুন খাওয়ার উপযোগী হয়।
General Inquiries
There are no inquiries yet.